নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের বকেয়া বেতন-ভাতা সংক্রান্ত নির্দেশনা

নতুন এমপিওভুক্ত ও স্তর পরিবর্তনকৃত স্কুল-কলেজ এর এপ্রিল ও মে মাসের বিশেষ এমপিও-২০২০ থেকে বাদপড়া শিক্ষক-কর্মচারীরাও বকেয়া সহ বেতন-ভাতা প্রাপ্ত হবেন।

স্কুল-কলেজের (নতুন এমপিওভুক্ত ও স্তর উন্নয়নকৃত) বকেয়া বেতন-ভাতা সংক্রান্ত নির্দেশনা

অবশেষে নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ এর বিশেষ এমপিও সমুহ থেকে বাদপড়া স্কুল-কলেজ এর শিক্ষক-কর্মচারীরাও, বকেয়া সহ বেতন-ভাতা প্রাপ্ত হচ্ছেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বিশেষ এমপিও হতে বাদপড়া শিক্ষক-কর্মচারীর, বকেয়াসহ বেতন-ভাতা প্রাপ্তির নির্দেশনা সম্বলিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল ও মে মাসের ঘোষিত এমপিও সমূহে শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বকেয়া সহ বেতন-ভাতা পেয়েছেন।

কিন্তু অনেক শিক্ষক-কর্মচারী সফটওয়ার জটিলতা ও স্বল্প সময়ের কারণে, বিশেষ এমপিও’তে এমপিও আবেদন করতে না পারায় তারা এমপিওভুক্ত হতে পারেন নি।

পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত হলেও তারা ঘোষিত বকেয়া সহ বেতন-ভাতা প্রাপ্ত হন নি। এমতাবস্থায় নতুন এমপিওভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এপ্রিল ও মে-২০২০ এমপিও’তে বাদপড়া শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও ও বকেয়া বেতন-ভাতা পাবেন যেভাবে

নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা যারা এখনো এমপিওভুক্ত হতে পারেন নি, তারা চলমান এমপিও’তে আবেদন করে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন।

তবে নিয়মিত এমপিও’তে তারা বকেয়া বেতন-ভাতা পাবেন না, পরের এমপিও আবেদনের মাধ্যমে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রাপ্ত হবেন।

বকেয়া বেতন-ভাতা প্রাপ্তির নির্দেশনায় বলা হয়, নিয়মিত এমপিও’তে এমপিওভুক্তির পরের মাসের এমপিও’তে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রসহ বকেয়া বেতন-ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

এছাড়াও স্তর পরিবর্তনকৃত প্রতিষ্ঠানের প্রধান যারা স্তর উন্নয়নের পরে বেতন গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে, তারাও বকেয়া বেতন-ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

উদাহরণ স্বরূপ, যারা সেপ্টেম্বর/২০২০ মাসে বকেয়া ছাড়া এমপিওভুক্ত হয়েছে, তারা নভেম্বর/২০২০ মাসের এমপিও’তে বকেয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

নভেম্বর মাসের এমপিও’তে তারা ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ০১ জুলাই হতে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট মাস পর্যন্ত বকেয়া বেতন-ভাতার আবেদন করতে পারবেন।

অর্থাৎ যে মাস হতে চলমান এমপিও’তে বেতন-ভাতা প্রাপ্ত হয়েছেন, তার পূর্বের মাস পর্যন্ত বকেয়া বেতন-ভাতার আবেদন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, যে সব শিক্ষক-কর্মচারী প্রথম যোগদান ০১ জুলাই ২০১৯ এর পরে, তারা প্রথম যোগদানের তারিখ হতে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রাপ্ত হবেন।

আর যে সব শিক্ষক-কর্মচারী ১৯ এপ্রিল ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের পর নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন, তারা বকেয়া বেতন-ভাতা প্রাপ্ত হবেন না।

বকেয়া বেতন-ভাতা জন্য আবেদন  করতে পারবেন নতুন এমপিও ভুুক্ত ১৬৩৮ প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) সেই সব এমপিও’র যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক-কর্মচারী, যারা এখনো এমপিওভুক্ত হতে পারেন নি।

নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর, বকেয়া বেতন-ভাতার প্রদানের নির্দেশনার বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

এদিকে এমপিওভুক্তির নতুন সময়সূচী সম্বলিত বিজ্ঞপ্তি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

নতুন এমপিও আবেদনের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে নিচের সংযুক্ত লিংকে ক্লিক করে বিস্তারিত জানুন।

স্কুল-কলেজের অনলাইন এমপিও আবেদন করতে, নিচের সংযুক্ত লেখাটি সহায়ক হতে পারে।

তথ্যসূত্র:

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

BD Educator এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

“নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের বকেয়া বেতন-ভাতা সংক্রান্ত নির্দেশনা”-এ 18-টি মন্তব্য

  1. আমি গত ১২/০৩/২০২০ ইং তারিখে পুরাতন এমপিও ভূক্ত একটি স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করে এমপিও ট্রান্সফারের আবেদন করলে জুলাই মাসের এমপিওতে আমাকে শুধু জুলাই মাসের বেতন-ভাতা প্রদান করেছেন। কিন্তু আগের তিন মাস বিশ দিনের বেতন-ভাতা প্রদান করেননি এবং সহকারী শিক্ষক পদে থাকা অবস্থায় প্রাপ্ত দুটি ও ২০২০ সালেরটিসহ মোট তিনটি ইনক্রিমেন্ট না দেওয়ায় আমার বর্তমান বেতন সহকারী শিক্ষক পদে প্রাপ্ত বেতনের চেয়ে কমে গেছে। এমতাবস্থায় আপনার সুপরামর্শ কামনা করছি।

    জবাব
    • আপনার সমস্যাটা বেশ জটিল। কোন প্রেক্ষিতে আপনার বেতন কমে গেল তা বোধগম্য নয়। কারণ সহকারী শিক্ষকের তুলনায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের স্কেল বেশী হওয়ার কথা। আপনি বলেছেন আগের ইনক্রিমেন্ট বর্তমান পদে যুক্ত হয় নি। এমতাবস্থায় আপনি আপনার সমস্যা কথা জানিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর কাছে পরামর্শ চাইতে পারেন। আর বকেয়া বেতন-ভাতা প্রাপ্তি সংক্রান্ত যে নির্দেশনা সদ্য জারি হয়েছে তা কেবলমাত্র নতুন এমপিওভুক্ত ও স্তর পরিবর্তন কৃত স্কুল-কলেজের জন্য প্রযোজ্য। আপনি যদি নতুন স্তর পরিবর্তন হওয়া স্কুলে যোগদান করেন, তাহলে আগামী এমপিও’তে বকেয়া বেতন-ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
      বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর সাথে কথা বলুন। তিনি আপনাকে বিষয়টির ব্যাখ্যা ও পরামর্শ দিতে পারবেন।
      প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।

  2. কলেজ এম পি ও তবে শিক্ষক এম পি ও হয়নি

    জবাব
    • এমপিও সম্পর্কে প্রশ্নটি আরো স্পষ্ট ভাবে করলে উত্তর দিতে সহজ হতো। ধন্যবাদ।

  3. আমি অক্টোবর ২০১৯ এ অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে যোগদান করে মার্চ ২০২০ এ এমপিও ভূক্ত হয়েছি, এক্ষেত্রে কি আমি বকেয়া বেতনের আবেদন করতে পারব?

    জবাব
    • এই প্রতিবেদনের নিচের দিকে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, নতুন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের সেই শিক্ষক-কর্মচারীরগণ বকেয়া বেতন-ভাতা পাবেন, যারা এখনো এমপিওভুক্ত হতে পারেন নি।
      আরো বিস্তারিত জানতে বিজ্ঞপ্তিটি ডাউনলোড করে পড়ুন।
      প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।

  4. This is a great deal.

    জবাব
    • মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

  5. স্যার আমি ১ম চক্রে অর্থ্যাৎ ২০১৬ সালে NTRCA এর মাধ্যমে জুনিয়র হাইস্কুলে নবসৃষ্টপদ ইংরেজিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হই আমাদের প্রতিষ্ঠান সদ্য mpo প্রাপ্ত হয়েছে।আমার আবেদন এই মাসের ১০সেপ্টেম্বর বিভাগীয় পর্যায় থেকে বাতিল হয়ে আসছে ১ম চক্রের নিয়োগ হওয়াতে।বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ আজকেও বললেন আবার আবেদন করলে আবারো রিজেক্ট হবে।কারন ১ম চক্রের আবেদন গ্রহন করার কথা কোন পরিপত্রে উল্লেখ নেই। দয়াকরে কি বলবেন সদ্য mpoভুক্ত জুনিয়র হাইস্কুলে ১ম চক্রে বা ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ইংরেজী বিষয়ের শিক্ষকগণ কিভাবে mpo প্রাপ্ত হবেন?উত্তরটা দেওয়ার জন্যে আবারো বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো

    জবাব
    • ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে ২য় চক্রে নিয়োগ প্রাপ্তদের ৪ নম্বর শর্ত শিথিল করা হয়েছে বলে, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করে দেখতে পারেন। নতুন কোন সিদ্ধান্ত আসতেও পারে। ধন্যবাদ।
      আরো স্পষ্টভাবে জানতে বিজ্ঞপ্তিটি পড়ুন এখান থেকে

  6. ২য় চক্রের non-mpo পদে নিয়োগপ্রাপ্তদেরকে non–mpo শিথিল করে mpo ভুক্ত করা হচ্ছে।কিন্তু নতুন mpo ভুক্ত স্কুল হওয়া সত্ত্বেও ১ম চক্রের non-mpo দেরকে কেনো এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না?এতে আইন সবার জন্য সমান হলো কি করে?আমাদের কি দোষ?আমরাও ত NTRCA এর সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত।২০১৬সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিনাবেতনে চাকরি করে যাচ্ছি। ঋণের চাপে মানসিকভাবে প্রত্যেকটা মুহূর্তে আতংকে আছি।কত যে কষ্টে আছি এক সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। এগুলোর কারণে ১০০% মনোযোগেরসহিত স্কুলে পাঠদানও করতে পারছি না।তাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কাছে আমার ঐকান্তিকভাবে মিনতি দয়া করুন মা,প্লিজ প্লিজ। আমার আবেদন বিভাগ থেকে রিজেক্ট করা হচ্ছে এই এক কারণে।এখন পর্যন্ত কোন পরিপত্রেই ১ম চক্রের mpo বিষয়ে উল্লেখ নেই। আজ ২ অক্টোব। এ মাসেও উপজেলা ও জেলা থেকে বলা হয়েছে আবেদন না করতে।আর করলেও রিজেক্ট হবে। আমার এই সমস্যা নিয়ে ডি.ডি.স্যারের কাছে গেলে উনি মাউশিতে যেতে বলেন।মাউশি স্যাররা আবার NTRCA-তে যেতে বলেন।এনটিআরসিএ স্যাররা বলেন আবার মাউসিতে যেতে।তাই আমি সম্পুর্ণরুপে বিভ্রান্ত ও নিরুপায় হয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি প্লিজ আমার প্রতি দয়া করেন ঋণের চাপে মানসিকভাবে প্রত্যেকটা মুহূর্ত আতংকে আছি মা।প্লিজ দয়া করুন। সারাজীবন আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো মা।প্লিজ দয়া করুন।

    জবাব
    • আপনার সাথে আমরাও সহমত পোষণ করে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। আশা করি ২য় চক্রের মত আপনারাও এমপিওভুক্ত হোন। ধন্যবাদ।

  7. আমি মা,উ,শি রাজশাহী অঞ্চলের মুলাডুলি কলেজের একজন প্রভাষক। আমরা ৫ জন প্রভাষক একই ফাইল দেওয়ার পরও একই cs কপি থাকা সত্বেও আমাদের ২ জন প্রভাষক অদৃশ্য কারণে এমপিও হতে পারিনি।আমাদের cs কপির ডিজি প্রতিনিধির সীল নেই বলে বাতিল করা হয়।অথচ ৫ জনের cs কপি একই ছিলো।এখন আমরা ২ জন সেপ্টেম্বর ২০২০ এ এমপি ও হলেও বকেয়া বেতন পায়নি।এখন কিভাবে বকেয়া পেতে পারি?কোন নির্দেশনা পাচ্ছি না।

    জবাব
    • এই প্রতিবেদনে বকেয়া বেতন-ভাতার পাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। আপনি মূল বিজ্ঞপ্তিটি পড়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। ধন্যবাদ।

  8. স্যার,আমি এবং আরো দুজন ইন্সট্রাক্টর কারিগরি কৃষি ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠান থেকে এমপিওভুক্ত হয়েছি।আমাদের নিয়োগ তাং ৮/১/২০০৫ এবং যোগদানতাং ১০/১/২০০৫।দুঃখের বিষয় আমরা ১৮ মাসের পূর্বের বকেয়া পাই নাই।শুধুমাত্র নিয়োগকালীন কমিটি পেপার সার্কুলারে ইন্সট্রাক্টর এর পরিবর্তে প্রভাষক ছিলো। অন্যান্য সকল কাগজপত্রে ইন্সট্রাক্টর পদে সমন্বিত আছে।এই মুহূর্তে ঐ১৮ মাসের এরিয়া কিভাবে পাবো।দয়া করে সমাধান দিন।

    জবাব
    • আপনার সমস্যার বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার এর সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।

  9. আমি আগষ্ট ২০২৩ মাসে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে যোগদান করেছি নভেম্বরে এমপিও হয়েছে। আমি কি আগের মাস গুলো এরিয়াল পাব?

    জবাব
    • খুব সম্ভবত না। তবে আপনি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।

মন্তব্য করুন