স্কুল-কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা

স্কুল-কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ শূন্য হলে বা ছুটিতে গেলে কারা ভারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান হতে পারবেন তার নীতিমালা সম্পর্কে জানুন।

স্কুল-কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক হওয়ার নীতিমালা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়

স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের অবর্তমানে কারা এসব প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন তার নীতিমালা তৈরী করেছে।

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রি. তারিখে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণ করে এক পরিপত্র প্রকাশ করেছে।

মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে কোন স্কুল ও কলেজে অধ্যক্ষা বা প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হলে বা ছুটিতে গেলে, উক্ত শূন্য পদের দায়িত্ব পালনের জন্য পরিপত্রের নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।

স্কুল-কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা

কোন স্কুল বা কলেজে কর্মরত অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হলে বা তিনি ছুটিতে গেলে অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নরুপ নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।

ক. প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অথবা স্নাতক (পাস) কলেজ হলে, সহকারী প্রধান শিক্ষক/উপাধ্যক্ষ ব্যতিত অন্য কোন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষের দায়িত্বভার অর্পন করা যাবে না। তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক/উপাধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকলে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতম সহকারী শিক্ষক/জ্যেষ্ঠতম সহকারী অধ্যাপককে প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

খ. প্রতিষ্ঠানটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় হলে, সহকারী প্রধান শিক্ষককে (গ্রেড-৮) প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পন করা যাবে না। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপকদের (গ্রেড-৬) মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতম জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/ জ্যেষ্ঠতম সহকারী অধ্যাপককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

গ. প্রতিষ্ঠানটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় অথবা উচ্চমাধ্যমিক কলেজ হলে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহকারী শিক্ষক/জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপকদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতম সহকারী শিক্ষক/জ্যেষ্ঠতম জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/জ্যেষ্ঠতম সহকারী অধ্যাপককে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

ঘ. জ্যেষ্ঠতম সহকারী শিক্ষক/জ্যেষ্ঠতম জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/জ্যেষ্ঠতম সহকারী অধ্যাপক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ, একই তারিখে এমপিওভুক্ত হলে যোগদানের তারিখ এবং যোগদানের তারিখ একই হলে বয়সের দিক থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষককে জ্যেষ্ঠতম গণ্য করতে হবে। একইভাবে একই বয়সের দুই জন হলে উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষককে জ্যেষ্ঠতম গণ্য করতে হবে।

অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে জানানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত ভারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের যোগ্যতা সম্পর্কে পরিপত্র দেখুন।

আরো দেখুন:

এমপিও নীতিমালা ২০২১: স্কুল-কলেজ এমপিও নীতিমালা (সংশোধিত)

মাদ্রাসা ও কারিগরি এমপিও নীতিমালা জনবল কাঠামো (সংশোধিত)

এমপিও শিক্ষকদের আচরণ বিধিমালা: লঙ্ঘনে থাকবে শাস্তির ব্যবস্থা

তথ্যসূত্র-

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

মন্তব্য করুন