প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ২০২৫ [সরকারি-বেসরকারি]

২০২৫ সালের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাইমারি স্কুলের ছুটির প্রজ্ঞাপনে বার্ষিক শিক্ষা বর্ষপঞ্জি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

এবারে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সংরক্ষিত ছুটি সহ মোট ৭৬ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এই প্রতিবেদন থেকে প্রাথমিকের ছুটির তালিকা দেখা ও ডাউনলোড করা যাবে।

সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ২০২৫

২০২৫ সালের দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখে অধিদপ্তরের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে, প্রাথমিক স্কুলের ছুটির তালিকার পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মোঃ শামসুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রাথমিকের ছুটির তালিকায় থাকা ছুটিগুলো অনুমোদন করেন।

এবারে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মোট ৭৬ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ৩ দিন সংরক্ষিত ছুটি থাকবে। তবে সংরক্ষিত ছুটি থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমোদনক্রমে ভোগ করতে হবে।

জাতীয় দিবস সমূহ যথাযথ মর্যাদায় বিদ্যালয় পর্যায়ে পালন করতে হবে বলে অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা দেখতে নিচের প্রতিবেদনটি পড়ুন।

সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৫ (বাংলাদেশের ছুটির ক্যালেন্ডার pdf)

মাদ্রাসার ছুটির তালিকা ২০২৫ (সরকারি-বেসরকারি মাদ্রাসা)

এক নজরে ২০২৫ সালের প্রাইমারি স্কুলের ছুটির তালিকা

২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৬ কার্য দিবস বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সংরক্ষিত ছুটি থাকবে ৩ দিন। ছুটির তালিকায় থাকা দিনগুলোতে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবস সমূহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বন্ধ থাকলেও দিবস সমূহ যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে হবে। ধর্মীয় দিবসগুলোতে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম সহ প্রাথমিক স্কুল বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রাথমিকের কিছু ছুটি একটানা চলবে। যেমন-

পবিত্র রমজান সহ শুভ দোলযাত্রা, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জুমাতুল বিদা, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, শব-ই-কদর,  ঈদ-উল-ফিতর জনিত কারণে প্রাথমিকে ছুটি থাকবে। এসব ছুটিজনিত কারণে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. পর্যন্ত মোট ২৮ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

গ্রীষ্মকালীন অবকাশ, ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১৪ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এসব ছুটিতে ৩ জুন থেকে ২২ জুন তারিখ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

দূর্গাপূজা, ফাতেহা-ইয়াজ-দাহাম, লক্ষ্মীপূজা. প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ৭ দিন প্রাথমিকে ছুটি থাকবে। এসব দিবসের ছুটি চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত।

যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন ও শীতকালীন অবকাশ হিসাবে ১১ দিন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এই ছুটি চলবে ১১ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৬ দিন ছুটির মধ্য থেকে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার বাদ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার ও শনিবার সহ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে (৭৬দিন + ৫২ শুক্রবার + ৫২ শনিবার) ১৮০ দিন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট কর্ম দিবস হবে (৩৬৫ দিন-১৮০ দিন) ১৮৫ দিন।

এ বিষয়ের বিস্তারিত জানতে নিচের যুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকাটি দেখুন। প্রয়োজনে তালিকাটি নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ২০২৫

২০২৫ সালের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের লিখে জানাতে পারেন।

তথ্যটি সবাইকে জানাতে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন।

আরো দেখুন:

DPE Notice [www.dpe.gov.bd] Primary Notice

Primary Education Ministry Notice Gazette Office Order

তথ্যসূত্র:

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

“প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ২০২৫ [সরকারি-বেসরকারি]”-এ 17-টি মন্তব্য

  1. প্রথম সাময়িক পরীক্ষার কি নতুন কোন রুটিন প্রকাশিত হয়েছে?২৫ মে থেকে তো কোন পরীক্ষা নিচ্ছে না এমন কি স্কুলে কোন নির্দেশনা ও নেই

    জবাব
  2. শ্রান্তি বিনোদন ছুটির জন্য সমন্বয় কেন?অন্য অধিদপ্তরের অধিনে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের যে যখন শ্রান্তি বিনোদন ছুটি প্রাপ্য হয়,সে তখন সরাসরি কর্মস্থল ত্যাগ করে এই ছুটি ভোগ করে।কেবলমাত্র প্রাইমারি শিক্ষকদের সাথে এই প্রহসন কেন? ছুটির নামে প্রহসন!!! বিদ্যালয় ত্যাগের অনুমতি নাই,ছুটি!!!পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাই,আমি নাকি ছুটিতে!!!!!! এমন প্রহসন বন্ধ করুন। আবার এই বছরের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ঐ বছরে!!! সবিনয়ে
    জানাচ্ছি যে সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সবাই বিধি মোতাবেক সুবিধা প্রাপ্য হোক এই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট। এক্স

    জবাব
  3. প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের শেষে আগামী বছরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। অথচ এই ছুটির তালিকার উপর নির্ভর করে অনেক কাজ। যেমন: ক্লাশ শুরু, শ্রেণি পরীক্ষা, সমাপনী পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় কাগজ ছাপানো, সিলেবাস ডায়রী ইত্যাদি। অথচ এই তালিকাটি প্রকাশ করতে কর্মকর্তাদের এতো গড়িমসি কেন আমি বুঝি না। দেশ ডিজিটাল হয়ে লাভ কী যদি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতেই হয়।

    জবাব

মন্তব্য করুন