২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি নীতিমালায় আবেদনের যোগ্যতা, পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন প্রকাশ করা হয়েছে।
এছাড়া মেডিকেল ভর্তির অনলাইন আবেদনের সময়সীমা, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের তারিখ ও ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৫ [আবেদনের যোগ্যতা, পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রশ্নের মানবণ্টন]
২০২৫ সালের বাংলাদেশের সকল সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের, এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
৯ ডিসেম্বর তারিখে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রুবীনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিক ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময়সূচি, যোগ্যতা, পরীক্ষার সিলেবাস, প্রশ্নের মানবণ্টন ও ভর্তি ফি সহ সকল বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনলাইনে মেডিকেল ভর্তির আবেদন শুরু হবে ১০ ডিসেম্বর থেকে। ভর্তি আবেদন করা যাবে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত। আবেদন ফি ১০০০/= টাকা।
১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০ টা হতে ১১টা পর্যন্ত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন আবেদন ও ভর্তি রেজাল্টে দেখার ঠিকানা: http://dgme.teletalk.com.bd/
নিচের অনুচ্ছেদে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির যোগ্যতা, সিলেবাস ও প্রশ্নের মানবণ্টন বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য পড়ুন।
আরো জানুন:
এমবিবিএস মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪: MBBS Admission 2024
মেডিকেল ভর্তি আবেদনের যোগ্যতা
নিম্নোক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
১. আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২. ২০২৪ সাল অথবা ২০২৩ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশের পূর্ববতী ০২ (দুই) শিক্ষাবর্ষের মধ্যে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৪. উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন সহ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হবেন।
৫. সকলের জন্য এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান বিষয়ে কমপক্ষে ৪.০০ জিপিএ থাকতে হবে।
৬. এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে।
৭. উপজাতীয় ও পাবর্ত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেতে এসএসসি সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষা মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। তবে এককভাবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম হলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না’।
বাংলাদেশী নাগরিকদের বিদেশি শিক্ষা গ্রহণকারীদের জন্য
বাংলাদেশি নাগরিক যারা বিদেশী শিক্ষা যেমন- ও-লেভেল/এ-লেভেল এসএসসি/এইচএমসি সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, তাদের মার্কসীট সমূহ বাংলাদেশে প্রচলিত জিপিএতে রূপান্তর করে, Equivalence Certificate সংগ্রহ করার করার পর অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।
সেক্ষেত্রে তাদেরকে পরিচালক, চিকিৎসা শিক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা বরাবরে ২০০০/- (দুই হাজার) টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার সহ আবেদন (স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার কক্ষ নং ২০৪) করে Equivalence Certificate সংগ্রহ করার সময় আইডি নম্বর নিতে হবে।
Equivalence Certificate সংগ্রহ করার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি এর সমমান পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র ও সনদপত্র সমূহের সত্যায়িত কপি সাথে আনতে হবে।
মেডিকেল ভর্তির পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রের মানবণ্টন [নম্বরবণ্টন]
২০২৫ সালের মেডিকেল ভর্তিতে মোট ১০০ (একশত) নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১০০ টি এমসিকিউ প্রশ্নের লিখিত পরীক্ষা ১ (এক) ঘন্টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
জীববিজ্ঞান-৩০, রসায়ন-২৫, পদার্থবিদ্যা-২০, ইংরেজী-১৫ ও সাধারণ জান (বাংলাদেশের ইতিহাস)-১০ নম্বরের এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে তাকে অকৃতকার্য বলে গণ্য করা হবে।
কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
মেডিকেল ভর্তিতে মেধা তালিকা নির্ধারণের মানদণ্ড
লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি-এইচএসসি সমমান পরীক্ষা রেজাল্ট (জিপিএ) এর যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
এসএসসি-এইচএসসি সমমান পরীক্ষার প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ নম্বর ধরে নিম্নোক্ত উপায়ে মূল্যায়ন করা হবে।
ক) এসএসসি/ সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ = ৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ)
খ) এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ – ৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ)
মোট ২০০ নম্বর (পরীক্ষা ১০০ + উভয় পরীক্ষার জিপিএ ১০০) এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধামান নির্ধারণ করা হবে
পূর্ববতী বছরের (২০২৩ সালের) এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সর্বমোট নম্বর থেকে ০৩ নম্বর বাদ দিয়ে এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ/ ইউনিট এ ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মোট ৬ নম্বর বাদ দিয়ে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
২০২৫ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা, পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রশ্নের মানবণ্টন (নম্বরবণ্টন) সম্পর্কে আরো জানতে আমাদের কাছে লিখতে পারেন।
তথ্যটি সবাইকে জানাতে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন।
আরো দেখুন:
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে (এমবিবিএস)
কুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২৪-২৫ (যোগ্যতা ও পরীক্ষার মানবন্টন)
তথ্যসূত্র:
স্যার এইচএসসি তে 4 th subject উচ্চতর গণিত না নিলে কৃষি নিলে কি মেডিকেল এ ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যাব???
যাবে।
এসএসসিতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে B থাকলে সমস্যা হবে?
কোন ভর্তি পরীক্ষায়?
অষ্টম শ্রেণির ফলাফেলের সমন্বয়ে মাধ্যমিক ফলাফলে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষায় :৩ পেয়ে মোট জিপিএ-৪.৫০পেয়েছি।আর যদি এইস এসসিতে যদি জিপিএ-৫পাইতাহলে ২০২৪ এ মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষা কি আবেদন দেওয়া যাবে?
পারবেন, তবে বিজ্ঞানের বিষয় গুলোতে ভালো করতে হবে।
A লেভেলে বিজ্ঞান বিষয়ে ন্যূনতম কতগুলো গ্রেড আছে যা আমি মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারি?
প্রতিবেদনে মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সংযুক্ত করা আছে। প্রয়োজনে পড়ে দেখুন।
আমি ssc বি এম থেকে এবং hsc জেনারেল সাইন্স থকে পাস করেছি আমার Biology তে A+ পেয়েছি এখন কি আমি মেডিকেল exam দিতে পারবো৷
আমি ২০২০ এ এসএসসি দিয়ে রেজাল্ট জিপিএ ৫ না আসার কারনে আবার ২০২১ এ এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছি এবং জিপিএ ৫ পেয়েছি। আমি ২০২৩ এ এইসএসসি পরিক্ষা দিয়েছি আমি কি মেডিকেল এ পরিক্ষা দিতে পারব?
আমার একটা প্রশ্ন ছিলো যদি দয়া করে উত্তর দিতেন..আমি ২০২০ এ ssc দিয়েছি কিন্তু A+ এর জন্য ২০২১ এ ইমপ্রুভমেন্ট দিয়েছি…এখন আমার ২১ এর সার্টিফিকেট আছে….এবার ২০২৩ এ hsc দিলাম…..ami ki medical admission dita parbo…? কারণ ssc এবং hsc এর মাঝে ২ বছরের গ্যাপ থাকা যাবে না এমন নিয়ম আছে শুনেছি…আমি চিন্তিত…plz janaban….?
এসএসসি সমমান পাস করতে হবে-‘এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাশের পূর্ববতী ০২ (দুই) শিক্ষাবর্ষের মধ্যে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।’ এটা গতবারের মেডিকেল ভর্তি যোগ্যতা।
ভাইয়া মেডিক্যাল এডমিশন পরীক্ষার প্রশ্ন তো ইন্টারের বই পড়ার মাধ্যমে কমন পাওয়া যায় তাইনা?
এইচএসসি সিলেবাস থেকে প্রশ্ন হয়।