ষান্মাসিক মূল্যায়ন সিলেবাস ২০২৪ (৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণি)

মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন  সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে মূল্যায়ন সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর। ৯ জুন ২০২৪ খ্রি. তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে মূল্যায়ণের সিলেবাস ও নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ষান্মাসিক মূল্যায়ন সিলেবাস ও নির্দেশিকা

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হবে ৩ জুলাই থেকে। আর এই মূল্যায়ণের সিলেবাস ও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

৯ মে ২০২৪ খ্রি. তারিখে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে, মূল্যায়ণের সিলেবাস প্রকাশের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মূল্যায়নের এই সিলেবাস প্রণয়ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনসিটিবি থেকে পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সিলেবাস ও এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো। বিষয়টি জরুরি বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাধ্যমিক স্কুলের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ষান্মাসিক মূল্যায়ন সিলেবাসের পিডিএফ কপির ইমেজ ভার্সন দেখুন।

৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ষান্মাসিক মূল্যায়ন নির্দেশনা

মূল্যায়ণের সিলেবাস প্রকাশের নির্দেশনা বলা হয়েছে, আগামী ১২, জুন ২০২৪ পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালীন প্রকাশিত সিলেবাসের বিষযগুলো শেষ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিকল্প উপায়ের কথা বলা হয়েছে।

বিকল্প উপায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করার দিকনির্দেশনা

  • বন্ধের পূর্বেই শিক্ষার্থীকে বন্ধে করনীয় অভিজ্ঞতাটির ধাপগুলো কী কী তা সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিন।
  • শিক্ষার্থীর বিকল্প কোন কোন কাজ পর্যবেক্ষণ করে তার পারদর্শিতা যাচাই করবেন তা জানিয়ে দিন।
  • কোথাও দলগত কাজ, পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজ থাকলে তা বিকল্প উপায়ে উদাহরণস্বরূপ, দলগত কাজের বদলে একক কাজ, পরিবারের সদস্যদের থেকে তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণের কাজটি বাড়ির আশেপাশের
    পরিবেশ থেকে বা ভিডিও দেখে বা ডকুমেন্ট পড়ে সম্পন্ন করা যেতে পারে) কাজটি সম্পন্ন করার কৌশল বলে দিন।
  • কাজ শেষে সক্রিয় পরীক্ষণের বদলে শিক্ষার্থী কী অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিবে তার ধারণা এবং জমা দেবার সময় নির্ধারণ করে দিন।
  • প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস করে, অভিভাবকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুপে, মোবাইল গ্রুপে নির্দেশনা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে কাজ পর্যবেক্ষণ করুন এবং ফিডব্যাক প্রদান করুন।

সামষ্টিক মূল্যায়নে প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা

আগামী ০৩/০৭/২০২৪ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিতব্য যান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের করণীয় সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয়েছে। নিচের অনুচ্ছেদে বর্ণিত নির্দেশনা মেনে চলতে অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য সাধারণ নির্দেশনা-

১। জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ এর আলোকে আগামী ০৩/০৭/২০২৪ থেকে ৩০/০৭/২০২৪ পর্যন্ত ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম যান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার সময়সূচী এবং বিষয় ভিত্তিক সর্বশেষ কোন অভিজ্ঞতা/অধ্যায় পর্যন্ত যান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের আওতায় আসবে তা ইতোমধ্যেই প্রেরণ করা হয়েছে।

২। যান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরুর পূর্বেই অর্থাৎ আগামী ০৩/০৭/২০২৪ তারিখের মধ্যে সম্পাদিত সকল বিষয়ের শিখন অভিজ্ঞতার পারদর্শিতার নির্দেশকসমূহ নৈপুণ্য আ্যাপে ইনপুট দিতে হবে।

৩। মূল্যায়ন কার্যক্রম চলাকালীন অর্থাৎ ০৩/০৭/২০২৪ থেকে ৩০/০৭/২০২৪ পর্যন্ত নির্দিষ্ট দিবসে মূল্যায়ন কার্যক্রম ব্যতীত ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির কোনো শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।

৪। প্রেরিত সময়সূচি অনুসারে নির্ধারিত দিনে একটি বিষয়েরই মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ নির্ধারিত বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রম নির্ধারিত দিনেই শেষ করতে হবে। পূর্বের ন্যায় কোন শ্রেণির একটি বিষয়ের মূল্যায়ন কার্যক্রম একাধিক দিনে সম্পন্ন করা যাবে না।

৫। বিষয় ভিত্তিক মূল্যায়ন কার্যক্রম নির্ধারিত দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তবে মূল্যায়ন কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে একটি মধ্যবর্তী বিরতি দেয়া যেতে পারে।

৬। মূল্যায়ন কার্যক্রমে হাতে-কলমে কাজ এবং কার্যক্রমভিত্তিক লিখিত অংশ উভয় ধরনের কার্যক্রম আছে। হাতে-কলমে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং লিখিত অংশের জন্য প্রয়োজনীয় খাতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহ করতে হবে।

৭। বিষয় ভিত্তিক মূল্যায়নে উপকরণে বৈচিত্র রয়েছে যা বিস্তারিত মূল্যায়ন নির্দেশিকায় উল্লেখ করা থাকবে। মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপকরণ সরবরাহের জন্য সাধারণ নির্দেশনাসমূহ নিম্নরূপ:

হাতে কলমে কাজ: শিক্ষার্থী সংখ্যা বিবেচনায় পোস্টার তৈরির জন্য সাদা/রঙীন কাগজ, সাইন পেন, কাঁচি, আঠা বা গাম ইত্যাদি।

লিখিত অংশ: ১৬ পাতার খাতা, প্রয়োজনে অতিরিক্ত পাতা সরবরাহ করতে হবে।

মূল্যায়ন প্রত্র: সরবরাহকৃত মূল্যায়ন পত্র থেকে শিক্ষার্থীর নির্দেশনা ও মূল্যায়ন /প্রশ্নপত্র অংশটি ফটোকপি করে সকল শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করতে হবে |

৮। উপকরণ সরবরাহের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোন উপকরণই যেন ব্যয়বহুল না হয়। রিসাইকেল, রিউইজ, আপসাইকেল উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।

৯। অভিভাবক বা শিক্ষার্থীকে উপকরণ সরবরাহের জন্য কোনো নির্দেশনা প্রদান করা যাবে না।

১০। মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের নিকট থেকে সীমিত পরিমাণে মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা
ফি নেয়া যেতে পারে।

১১। মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনা মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরুর পূর্বের দিন নৈপুণ্য আ্যাপের প্রতিষ্ঠান
ড্যাসবোর্ড এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

বিষয় ভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশনা মূল্যায়ন কার্যক্রমের সময়সূচি অনুসারে নির্ধারিত দিনের পূর্বের দিন পাওয়া যাবে।

১২। মূল্যায়ন নির্দেশনায় শিক্ষকের জন্য করণীয়, শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয়, মূল্যায়ন পত্র, শিক্ষকের জন্য পর্যবেক্ষণ চেক লিস্ট এবং মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিষয় ভিত্তিক উপকরণের বিবরণ থাকবে।

১৩। যান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা শেষে শিক্ষার্থীর অর্জিত পারদর্শিতার রেকর্ডের ভিত্তিতে নৈপুন্য আ্যাপে
পারদর্শিতার নির্দেশক (পিআই) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইনপুট দিতে হবে।

সামষ্টিক মূল্যায়ণের নির্দেশনা

আরো দেখুন:

৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণির ষান্মাসিক মূল্যায়ন রুটিন ২০২৪ (সংশোধিত)

তথ্যসূত্র-

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

মন্তব্য করুন